Sunday, November 17, 2013

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় যে বিষয় গুলার দিকে খেয়াল রাখা উচিত

যেকোন ওয়েবডেভেলপারদের ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় ভিজিটরদের কথাটাও মনে রাখা উচিত খুব সুন্দর ডিজাইন করলাম কিন্তু যাদের জন্য এই ডিজাইন করলাম সেই ভিজিটর যদি এখানেএকবার এসে দ্বিতীয়বার আসতে অনুৎসাহিত হয়, তাহলে সেই ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করে কোন লাভ নাই খুব সুন্দর একটি গাড়ি কিন্তু কোন ইঞ্জিন নাই, ব্যাপারটা সেই রকম হবে আপনি নিজেও সেই রকম কিছু করেছেন কিনা এখনই চেক করুন এবং সেগুলো ঠিক করুন কি কি চেক করবেন এবং কিভাবে সেগুলো সমাধান করবেন সেই বিষয় নিয়েই আমার আজকের পোষ্ট

নেভিগেট করা কষ্টকর

অনেক ওয়েবসাইট ডিজিইন করার সময় নতুনত্ব আনার জন্য এমনভাবে ডিজাইন করে যে সেই ওয়েবসাইটের মেনু সহজে খুজে পাওয়া যায়না। মেনু সহজে খুজে বের করতে না পারলে ভিজিটর সহজে তার প্রয়োজনীয় পেজগুলোতে যেতে না পারেনা, তখন ওয়েভসাইট খুব দ্রুত বিদায় নেয়
সমাধানঃ সহজে দেখা যায় এমন জায়গাতে মেনু দিতে হবে। মেনুর নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিচিত শব্দগুলো ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ About, Services, and Contact.যে পেজে কোন ভিজিটর অবস্থান করবে সে পেজের মেনুর কালার যাতে অন্য মেনুগুলো হতে ভিন্ন হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে

 ওয়েবসাইটের প্রস্থ নির্ধারনে ভুল

ওয়েবসাইটের প্রস্থ নির্ধারনের সময় লক্ষ্য রাখা দরকার, ভিজিটরকে যাতে পুরো ওয়েবসাইটটি দেখতে স্ক্রল করতে না হয়। আমি প্রস্থের দিকে স্ত্রলের কথা বলছি, উচ্চতার দিকে না
  সমাধানঃ এটা সমাধানের জন্য relative width ব্যবহার করতে হবে। এটা HTML <body> ট্যাগে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি সাধারণত css এটা ব্যবহার করি। সে এক্ষেত্রে কোডটি হবে। body{width:100%;}

ওয়েবসাইটের সকল পেজগু্লোর মধ্যে সমন্বয় না থাকা

যদি একটি ওয়েবসাইটের সকল পেজের মধ্যে লেআউটকালার কিংবা বাকি সকল থিম মিল না থাকে, তাহলে সৌন্দয্য থাকেনা
সমাধানঃ একটি ওয়েবসাইটকে বইয়ের মত মনে করা উচিত। একটি বইয়ের সবাই দেখেছেন যে সকল পেজের মধ্যে মূল থিম একই রকম থাকে। ওয়েবসাইটেও সেটা করতে হয়

 ব্যানারের উচ্চতা নির্ধারনে ভুল

ওয়েবসাইটের সৌন্দযের জন্য বর্তমানে সবাই header এর নিচে ব্যনার ব্যবহার করে যেখানে স্লাইড শো হতে থাকে। অনেকে সেটির এমন height দেয় যেটির জন্য এর পরে কোন কনটেন্ট আছে সেটা নিয়ে ভিজিটর কিছুটা দ্বিধাতে পরে যায়
 সমাধানঃ স্লাইডশো ব্যানারের উচ্চতা হওয়া উচিত যাতে যে কেউ কোন স্ক্রলিং না করেও বুঝতে পারে নিচে আরও কিছু কনটেন্ট আছে

মিউজিক কিংবা ভিডিও ব্যবহারেও ভুল

ওয়েবসাইট ওপেন করলেই সাথে সাথে ভিডিও কিংবা মিউজিক শুরু হয়ে যায়, এটা আমার কাছেতো অবশ্যই , আমার ধারনা সকলের কাছে বিরক্তির কারণ সৃষ্টি করে। কিছুদিন আগে এরকম একটি ওয়েবসাইট আমি দেখেছি। আমি সেই ওয়েবসাইটটিতে মাঝে মাঝেই যেতাম কিন্তু যখন তারা মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্য ওয়েবসাইটে ঢুকার সাথে সাথেই মিউজিকের ব্যবস্থা করেছে, তখন আমি সেখানে যাওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে কিছুদিন পর তারা আবার সরিয়ে দিয়েছে, এখন আবার সেখানে যাই।
সমাধানঃ অটো প্লে ফিচার অফ রাখুন। ভিজিটর যদি শুনতে চায়, তাহলে সে বাটনে ক্লিক করে চালিয়ে শুনে নিবে

রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি না করা

বর্তমানে সকল ওয়েবসাইট রেসপন্সিভ হওয়া উচিত অর্থাৎ  সকল ডিভাইস এবং সকল ব্রাউজারেই যাতে এটি সুন্দর দেখায়। রেসপন্সিভ ওয়েবসাইটটি কেমন হয় সেটি চেক করার জন্য ক্রিয়েটিভ আইটির সিনিয়র ওয়েবডেভেলপার এবং ওয়েবডেভেলপমেন্টের জনপ্রিয় ট্রেইনার নুরে আলমের করা ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন। http://www.beza.gov.bd সকল ব্রাউজার এবং সকল ডিভাইসে (পিসি, মোবাইল, ট্যাব) চেক করে দেখতে পারেন
সমাধানঃ ওয়েবসাইট অনলাইনে দেয়ার আগে সকল ব্রাউজার এবং সকল ডিভাইসে চেক করে নিন।

 সার্চ বক্স না থাকা

এটি মুলত প্রয়োজন সেইসব ওয়েবসাইট যেখানে প্রচুর কনটেন্ট থাকে অর্থাৎ বড় ওয়েবসাইটে এটি খুবই প্রয়োজনীয়। না হলে ভিজিটররা প্রয়োজনমত কিছু খুজে পাবেনা
সমাধানঃ মানুষ সাধারণত যেকোন ওয়েবসাইটের একদম উপরের ডানদিকের কর্ণারে সার্চ বক্স দেখতে অভ্যস্ত। সেজন্য ওই জায়গাতেই সার্চ বক্স বসাতে হবে

 গুগল এনালিটিকস ব্যবহার না করা

এনালিটিকস হলো এমন একটি টুলস যার মাধ্যমে আপনার একটি আঙ্গুল ওয়েবসাইটের পালসে সবসময় রাখতে পারবেন। যদি আপনি আপনার ভিজিটরদের গতিবিধি না জানতে পারেন, তাহলে বুঝতে পারবেননা আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে লাভ হয়েছে কিনা
সমাধানঃ গুগলে সার্চ দিয়ে গুগলের এনালিটিকসের সাইটে যেতে হবে, তারপর আপনার জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে সেটি লগইন করে আপনার ওয়েবসাইটটি সেখানে লিস্টেড করলে একটি কোড দিবে, সেটি আপনার ওয়েবসাইটের সকল পেজের  <head> সেকশনে ব্যবহার করুন

 অগোছালো পেজ

ওয়েবসাইটের অগোছালো পেজ সবসময়ই সবার কাছে খুব বিরক্তির সৃষ্টি করে। কোন ভিজিটর যদি ওয়েবসাইটে এসে প্রচুর বিঞ্জাপন, ছবি, অগোছালো লেখা দেখে তাহলে সেই ওয়েবসাইট থেকে দ্রুত সরে যাবে
সমাধানঃ ওয়েবসাইট থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন। ওয়েবপেজের header , ওয়েলকাম মেসেজ কিংবা অন্যান্য সব কিছুর মধ্যে যথেষ্ট ফাকা রাখুন

 ওয়েবসাইটটির উদ্দেশ্য কি বোঝা না যাওয়া

প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের একটি উদ্দেশ্য থাকে। পণ্যকে মার্কেটিং করা কিংবা আপনার ট্যালেন্টকে প্রচার করা কিংবা কোন কোম্পানীর ব্যবসাকে আরও সমৃদ্ধ করা ইত্যাদি। কিন্তু যদি কেউ ওয়েবসাইটে না বুঝে আসলে ওয়েবসাইটটি কি উদ্দেশ্যে তৈরি, তাহলে শুধু ঘুরপাক খাবে
সমাধানঃ ওয়েবসাইটটি তৈরি উদ্দেশ্য জানুন এবং এরপর সকল কনটেন্টে সেই উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করার দিকে নজর দিন যাতে যে কেউ ওয়েবসাইটে এসে সহজেই সব বুঝতে পারে

 পড়ার অনুপযোগী

ওয়েবসাইটের লেখা অনেক বড় কিংবা অনেক ছোট কিংবা এমন ফন্ট ব্যবহার করলেন যেটা পড়া কষ্টকর কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড ফন্ট কালার মিলে যাওয়া- এগুলো একজন ভিজিটরকে পুনরায় ওয়েবসাইটে ফিরে আসতে অনুৎসাহিত করে
সমাধানঃ ওয়েবসাইটের বডিতে যে লেখা ব্যবহার হবে সেটির ফন্ট সাইজ ১২ স্ট্যান্ডার্ড। ফন্ট কালার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার যাতে মিলে না যায়, যাতে খুব ভালভাবে লেখা বুঝা যায়, সেদিকে ভালভাবে নজর দিতে হবে। সাধারণ ফন্ট ব্যবহার করা ভাল, মানুষ সহজে পড়তে পারবে

  ভিজিটর সাথে কানেকশনের ব্যবস্থা না থাকা

নতুন অনেক ওয়েবডেভেলপাররা অনেক সময় ক্ষমার অযোগ্য একটি ভুল করে। সেটি হল ভিজিটরের সাথে কতৃপক্ষের যোগাযোগের কোন মাধ্যম তারা রাখেনা
সমাধানঃ সাইনআপ ফরম কিংবা ইমেইল সাবস্ক্রাইব এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হবেনা, সেখানে ফিডব্যাক ফরম থাকতে পারে
একটি কোম্পানীর ওয়েবসাইট সেই কোম্পানীর খুব বিশাল সম্পদ। সুতরাং সেটি করার সময় যতটুকু সম্ভব ইউজার ফ্রেন্ডলি করা উচিত। তাহলে ভিজিটররা সেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে আগ্রহী হবে। আপনার ক্লায়েন্ট হয়ত এগুলোর ব্যপারে খুব বেশি সচেতননা, আপনাকে নিজ উদ্যোগে এসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আজ পযন্তই


Saturday, November 16, 2013

Tuesday, November 12, 2013

গুগল সার্চের টিপসগুলো জানা আছে কি ?

ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন কিন্তু গুগলে সার্চ করছেন না কিংবা প্রয়োজনীয় সাইট কিংবা তথ্য পেতে গুগলের দারস্ত হতে হয়না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। অনেকেই গুগলের নাম জানেন, কাজও করেন কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না জানার কারনে প্রয়োজনীয় বিষয়টি খুজে পেতে অনেক বেগ পোহাতে হয়। যেমন আপনার হয়তো এ মূহুর্তে অষ্ট্রেলিয়ার সময় জানা দরকার, Australia local time লিখে সার্চ দিচ্ছেন, হয়তো প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েও যাবেন। জানেন কি, আরো ছোট করে time Australia লিখে সার্চ দিলে আরো ভাল ফলাফল পাবেন!!!
তাছাড়া সময়ও বাঁচবে।
চলুন দেখে নিই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে সার্চ করবার কিছু টিপস এবং কম সময়ে কিভাবে প্রয়োজনীয় সাইট কিংবা তথ্য খুজে পেতে পারিঃ
প্রথমেই শুরু করছি fill in the blanks বা শুন্যস্থান পূরণ সার্চ দিয়ে।
ধরুন আপনি একটি শহরের নাম জানেন(Alabama) কিন্তু সেটা কোথায় অবস্থিত সেটা জানেন না। গুগলে গিয়ে লিখুন alabama is located in (*), মানে শুন্যস্থানে ব্র্যাকেটের মাঝে ষ্টার দিয়ে দিন। নিজেই চেষ্টা করে দেখুন উত্তরটা কিভাবে আসে।
তারপর ধরুন একটি নির্দিষ্ট সাইটের ভেতরে আপনি সার্চ করতে চাচ্ছেন, কিভাবে করবেন?
[সার্চ query site:sitename] এই নিয়মে এ সার্চ করলে নির্দিষ্ট সাইটের ভেতর থেকে আপনার কাঙ্খিত ফলাফলটি বের করে আনতে পারবেন। যদি mediafire site:earntricks.com লিখে সার্চ দিন, গুগল আর্নট্রিক্স ওয়েব সাইট থেকে শুধুমাত্র mediafire শব্দটির সার্চ রেজাল্ট দেবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন ডোমেইন থেকে সার্চের রেজাল্ট চান, তাহলে এইভাবে টাইপ করুন mediafire site:.bd। এ ক্ষেত্রে mediafire লিখাটি শুধুমাত্র যে সমস্ত .bd ডোমেইনের সাইট আছে সে সমস্ত সাইটকে সার্চ রেজাল্টে দেখাবে।
সাইটের টাইটেল অথবা সাইট টেক্সটে খোজাঃ
[intitle:সার্চ query] অথবা [intext:সার্চ query] এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনার কাংখিত শব্দটি ওয়েবসাইট টাইটেল অথবা সাইটের ভেতরের টেক্সট থেকে বের করে দেবে।
যেমনঃ intitle:free lynda tutorial লিখে সার্চ দিলে, যেসব ওয়েব সাইটের টাইটেলে free lynda tutorial কথাটি আছে, সেসব সাইটকে রেজাল্টে দেখাবে। অন্যদিকে, intext: lynda tutorial লিখে সার্চ করলে, যেসব ওয়েব সাইটের ভেতরের টেক্সটে (টাইটেলে নয়) lynda tutorial কথাটি আছে, সেসব সাইটকে রেজাল্টে দেখাবে।
কোন নির্দিষ্ট সাইটের লিঙ্ক কোন কোন সাইটে ব্যবহার করা হয়েছে জানা দরকার?
[link:url] এই সিনট্যাক্সের মাধ্যমে কাজটি করতে পারবেন। শুধু url এর জায়গায় আপনার কাংখিত সাইটের url টি দিয়ে সার্চ দিন। যেমনঃ link:desteaminstitute.com লিখে সার্চ করলে যে সমস্ত সাইটে desteaminstitute.com এর লিঙ্কটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা রেজাল্ট হিসেবে দেখাবে।
আপনার পছন্দের সাইটের মত আর কি কি সাইট আছে জানা দরকার?
ধরুন প্রিয় কোন সাইটে বাংলা খুজছেন কিন্তু পেলেন না, সেক্ষেত্রে এমন আর একটি সাইট খোজার প্রয়োজন হল যেটা আপনার প্রিয় সাইটের এর মত টিউটোরিয়াল শেয়ার করে, তাহলে পরিচিত সাইটটির আগে লিখুন related:
যেমনঃ related:prothom-alo.com লিখে সার্চ দিলে গুগল বাংলাদেশের অন্যান্য অনলাইন নিউজপেপার সাইটের সার্চ রেজাল্ট দেবে।
আপনি জানেন, গুগলকে ক্যালকুলেটর হিসেবেও ব্যবহার করা যায়!!!
যে হিসাবটি করতে চান তা যথাযথভাবে সার্চ বক্সে লিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপঃ 2 + 3
3*2+1
sqrt 9
sin 90 + log 10
লিখুন, সার্চ করুন, দেখুন কি রেজাল্ট আসে।
কোন নির্দিষ্ট শব্দের সমার্থক শব্দ দরকার?
গুগলে নির্দিষ্ট শব্দের আগে (~) টিলড চিহ্নটি বসিয়ে সার্চ দিলে সমার্থক শব্দ পেয়ে যাবেন। যেমনঃ ~gorgeous লিখে সার্চ দিয়ে দেখুন তো, কতগুলো সিনোনিম খুজে পাওয়া যায়।
ফিচারটির নাম সিনোনিম সার্চ।
কোন কিছুর সংজ্ঞা পেতে:
আপনি যদি কোন শব্দের সংজ্ঞা পেতে চান তবে কোলন দিয়ে লিখুন।
উদাহরণ: define:plethora
সুনির্দিষ্ট ফাইল টাইপ
ফাইলের ধরন সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব গুগল সার্চে। যেমন: filetype:pdf ফলাফলে সব পিডিএফ ফাইল দেখা যাবে। একইভাবে .ppt (পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল), .doc (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল), .swf (ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ফাইল)সহ আরো অনেক ধরনের ফাইলের ধরন নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব।
আবহাওয়া সার্চঃ
ঠিক টাইম সার্চের মতই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়া পূর্বাভাস জানতে গুগল সার্চ ব্যবহার করুন। লিখুন weather:[place/city] অথবা weather [place/city]। যেমনঃ লিখুন ও সার্চ করুন weather:Dhaka অথবা weather:Geneva। এখানে শহর বা জায়গাটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ হতে হয়।
সর্বশেষ আকর্ষনীয় টিপস,
পাইরেটেড ডাওনলোডঃ
প্রয়োজনীয় বই বা টিউটোরিয়ালের ফ্রি ডাওনলোড লিঙ্ক পাচ্ছেন না? কোন সমস্যা নেই। সেই বই বা টিউটোরিয়ালের নামের শেষে একটা স্পেস দিয়ে warez লিখে সার্চ দিন, দেখুন কত কত পাইরেটেড ফ্রি ডাওনলোডের লিঙ্ক চলে আসছে।
আশা করি পরবর্তী সময়ে গুগল সার্চ করতে টিপসগুলো আপনাদের কাজে আসবে। আজ এ পর্যন্তই, ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

Saturday, November 2, 2013

কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর কিছু উপায়



সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি
কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যায় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে।
তেমন কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হলোঃ

. কম্পিউটারে কখনো Theme ইনস্টল করা উচিত নয়।থিম কম্পিউটারকে অনেক ধীর করে দেয়।
. কম্পিউটারে অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার, কথা বলা ঘড়ি (ভয়েস ঘড়ি) ইত্যাদি ইনস্টল করবেন না। এগুলো কম্পিউটারকে ধীর করে দেয়।
. Recycle bin সব সময় ফাঁকা রাখুন। Recycle bin- কোনো ফাইল রাখবেন না। Recycle bin- ফাইল রাখলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
. Start থেকে Run- ক্লিক করে এক এক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ok করুন। ফোল্ডারগুলো খুললে সবগুলো ফাইল মুছে ফেলুন (ডিলিট) কোনো ফাইল না মুছলে সেটি বাদ দিয়ে বাকিগুলো মুছে ফেলুন।
. কিছু সময় পরপর Start থেকে Run- ক্লিক করে tree লিখে ok করুন। এতে র্যামের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
. ডেস্কটপে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties- যান। এখন ডান পাশ থেকে Settings- ক্লিক করে ১৬ বিট নির্বাচন করে ok করুন।
. আবার Start থেকে Run- ক্লিক করে msconfig লিখে ok করুন। এখন ডান পাশের Services- ক্লিক করুন। যে প্রোগ্রামগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলোর বাঁ পাশ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। এখন Startup- ক্লিক করে বাঁ পাশের সবগুলো টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। Restart দিতে বললে Restart দিন।
. এখন My Computer খুলে সি ড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties- যান। তারপর Disk Cleanup- ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। নতুন উইন্ডো এলে বাঁ পাশের সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন। এভাবে প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্লিন করতে পারেন।
. Start থেকে Control Panel- যান। Automatic Updates- ডবল ক্লিক করুন। Turn off Automatic Updates নির্বাচন করে ok তে ক্লিক করুন। যাঁরা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, এটা তাঁদের জন্য প্রযোজ্য।
১০. My Computer-এর ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties- যান এখন Advanced Settings সিলেক্ট করে Performance-এর নিচে Settings- ক্লিক করুন। এখন Customs সিলেক্ট করে সবার নিচের বক্সের ঠিক চিহ্নটি রেখে বাকি সবগুলো তুলে দিয়ে ok করুন।
১১. আবার My Computer-এর ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties- যান। এখন Advanced সিলেক্ট করে নৃিচে ডান পাশে Error Reporting- ক্লিক করুন। Disable সিলেক্ট করে ok করুন।
১২. My computer- মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties- যান। এখন System Restore- ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives- ঠিক চিহ্ন দিয়ে ok তে ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো এলে সেটির yes- ক্লিক করুন।
ডেস্কটপে যত কম আইকন রাখা যায় ততই ভালো।
১৩. Ctrl + Alt + Delete চেপে বা Task bar- রাইট ক্লিক করে Task Manager ওপেন করুন। তারপর Processes- ক্লিক করুন। অনেকগুলো প্রোগ্রামের তালিকা দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না, সেগুলো সিলেক্ট করে End Process- ক্লিক করে বন্ধ করে দেন। এই প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমের প্রোগ্রামও আছে। যদি ভুল করে কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেন এবং এতে যদি অপারেটিং সিস্টেমের কোনো সমস্যা হয়, তাহলে কম্পিউটার Restart দিন। ঠিক হয়ে যাবে।
১৪. কম্পিউটারের র্যাম কম থাকলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার কিছুটা ফাস্ট করা যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে My computer- মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে properties- যান। এখন Advance- ক্লিক করে performance-এর settings- ক্লিক করুন। আবার Advance- ক্লিক করুন। এখন change- ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Initial size Maximum size- আপনার ইচ্ছামতো size লিখে set- ক্লিক করে ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন। তবে Initial size- আপনার কম্পিউটারের র্যামের size-এর দ্বিগুণ এবং Maximum size- র্যামের size-এর চারগুণ দিলে ভালো হয়।
১৫. প্রথমে Control panel- যান। Control panel থেকে Add or Remove- ডবল ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে Add/Remove windows components- ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির বাঁ পাশ থেকে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না, সেগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিন, তারপর Accessories and Utilities নির্বাচন করে Details- ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটি থেকে একই পদ্ধতিতে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না সেগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। এখন next- ক্লিক করুন। Successful massage এলে Finish- ক্লিক করুন। Restart করতে বললে Restart করুন।
১৬. শুধু আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করুন। যে সফটওয়্যারগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলো কাজ শেষ করে আবার আন-ইনস্টল করে দিন।
১৭. হার্ডডিস্কের ১৫ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখলে এবং নিয়মিত ডিফ্রাগমেন্ট করলে কম্পিউটার অনেক ফাস্ট থাকে।
হার্ডডিস্কের ফাঁকা স্থানের পরিমাণ যত বেশি থাকে ততই ভালো।
১৮. সফটওয়্যার ইনস্টল করে ব্যবহার করার চেয়ে পোর্টেবল (বহনযোগ্য) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে কম্পিউটার বেশি ফাস্ট থাকে